নিউজঅর্থনীতি

বাঙালিদের জন্য ১৩টি সেরা ব্যবসার আইডিয়া, মন দিয়ে করলে আপনিও হতে পারেন কোটি টাকার মালিক

বর্তমানে চাকরির বাজার বেশ খারাপ। সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি চাকরি পেতে যেমন একাধিক যোগ্যতা লাগে তেমনই লাগে পরিশ্রম, অধ্যবশায়, ধৈর্য্য। অনেকেই তাই আর এই পথে পা বাড়ান না। কিন্তু ব্যবসা করতে এসবের দরকার হয় না। ব্যবসায় দরকার হয় বুদ্ধি ও পরিশ্রম। তবে অনেকে ব্যবসায় পূঁজির কথা ভেবে পিছিয়ে আসেন। তাই আজকের প্রতিবেদনে এমন কয়েকটি ব্যবসার ধারণা দেওয়া হল যা করতে যেমন পুঁজি লাগবে না তেমনি রোজগার হবে দুই হাত ভরে। তবে ব্যবসায় মনে রাখতে হবে মার্কেট রিসার্চ অর্থাৎ সেই মালগুলি কেমন দাম, ক্রেতারা কোথা থেকে কেনেন কিংবা কাঁচামাল কোথায় পাওয়া যায় এগুলি গুরুত্বপূর্ণ।

১. অ্যাকোরিয়ামে মাছ চাষ – অনেকের বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়াম রয়েছে। তার মধ্যে থাকে নানান রঙিন মাছ। অ্যাকোয়ারিয়াম ঘরকে আরও সুন্দর করে তোলে। তাই এই ব্যবসা শুরু করে আপনার পাড়া প্রতিবেশী সকলেই আপনার থেকে মাছ কিনবেন ও ধীরে ধীরে ব্যবসা বাড়লে দূর দূর থেকে মানুষ আসবে।

২. ক্যাটারিং-এর ব্যবসা – ক্যাটারিং বলতে বোঝায় যেকোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে যারা খাবার পরিবেশন করেন। তাই এই ব্যবসায় প্রচুর লাভ। অনেকে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এই কাজটি করেন। যেহেতু সারাবছর বিভিন্ন অনুষ্ঠান লেগে রয়েছে তাই ক্যাটারিং-এর ব্যবসা করে দারুণ লাভবান হওয়া যায়।

৩. গিফট শপের ব্যবসা – গিফট শপ বলতে বোঝায় যেকোনো অনুষ্ঠানে সকলে আমরা যে উপহার নিয়ে যাই। তাই মানুষের নানান চাহিদা মতন গিফট আপনার কাছে রাখলে তা বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়। তাই কোন গিফট মানুষের কাছে বেশি চাহিদা পাচ্ছে সেগুলি খেয়াল রাখতে হবে।

৪. ইউটিউবের মাধ্যমে আয় – এটি এখনকার যুগে সবথেকে জনপ্রিয় ও লাভবান একটি আয়ের সুযোগ। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং তাতে আপনি যদি নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করেন ও প্রচুর সাবস্ক্রাইবার থাকে তবে আর চিন্তা নেই। ইউটিউব থেকে অনেকেই প্রচুর আয় করেন যা কোনো সরকারি কর্মচারীর আয়ের উর্ধ্বে।

৫. কাগজের প্লেট ও কাপ তৈরির ব্যবসা – কাগজের কাপ ও প্লেটের এখন বিপুল চাহিদা। কারণ অনুষ্ঠান মানেই কাগজের কাপ ও প্লেট। এটির ব্যবসা শুরু করে প্রচুর লাভবান হওয়া যায়। দোকান থেকে মেশিন কিনে আনতে হবে। এরপর তৈরি করে ফেলতে হবে কাপ, প্লেট। মেশিন আপনার ব্যবসাকে দাঁড় করাতে পারে।

৬. পপকর্ন তৈরির ব্যবসা – এই ব্যবসাটি করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি পপকর্ন তৈরির মেশিন কিনতে হবে। এই মেশিনের সাহায্যে তৈরি হবে পপকর্ন। তাই যেকোনো জনবহুল জায়গায় পপকর্মের দোকান দিলে তা চলতে বাধ্য।

৭. বাতাসা তৈরির ব্যবসা – বাতাসা হল ভগবানের প্রসাদ। যেকোনো পুজোতে ঠাকুরকে বাতাসা নিবেদন করা হয়। এই ব্যবসায় পূঁজির দরকার হয় না। যদি ব্যবসা দাঁড়িয়ে যায় তখন বাতাসা তৈরির মেশিন কিনলে তার সাহায্যে প্রচুর বাতাসা অল্প সময়ে তৈরি করা যায়।

৮. চকোলেট তৈরির ব্যবসা – চকোলেটের ব্যবসা করে প্রচুর আয় করা যায়। চকোলেট তৈরি করে সেটিকে খুচরো বা পাইকারি দরে বেচতে পারবেন। এছাড়া অনলাইনের সাহায্যে বাড়িতে বসে বিক্রি করতে পারবেন চকোলেট।

৯. আইসক্রিম তৈরির ব্যবসা – সামনেই আসছে গরমকাল। আর গরম মানেই মানুষ ঠান্ডার খোঁজ করবেন। আর তখনই প্রয়োজন পড়বে আইসক্রিমের। এটির ব্যবসায় লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মেশিন কিনতে পূঁজির দরকার রয়েছে।

১০. কাগজের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা – কাগজের ব্যাগের এখন বিপুল চাহিদা রয়েছে। কারণ দেশ জুড়ে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেক জায়গায় একেবারে নিষিদ্ধ। তাই এই ব্যবসায় রয়েছে সাফল্য।

১১. ডিজিটাল স্টোর – ডিজিটাল স্টোর বলতে সাইবার ক্যাফে বোঝানো হয়েছে। বর্তমানে সমস্ত অফিশিয়াল কাজকর্ম অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাই অনলাইনের সমস্ত বিষয় জানলে ও পরিশ্রম করতে পারলে এটি একটি দারুণ ব্যবসার আইডিয়া।

১২. মোমবাতি তৈরির ব্যবসা – এই ব্যবসার জন্য লাগবে মোম, সুতো, সুগন্ধি ও তেল। বাড়িতে বসেই মোমবাতির ব্যবসা করা যায়। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে মোমবাতি ব্যবহার করা হয়।

১৩. রিয়েল এস্টেট ব্যবসা – এটির ব্যবসা করতে হলে প্রথমে একটি স্টে এজেন্সি খুলতে হবে। এরপর এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে হবে। জমি বাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা এটি। বিক্রেতার সঙ্গে ক্রেতার যোগাযেগ করিয়ে দেওয়া হল এই ব্যবসার আসল উদ্দেশ্য।