নিউজ

সরকারি কর্মীদের জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর, পেনশনের নিয়মে বড় রদবদল!

পুরনো ও নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে দেশজুড়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই জাতীয় পেনশন স্কিম ও পুরনো পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। জাতীয় পেনশন স্কিম নিয়ে বহু কর্মী বিরক্ত। তবে এবার সরকারি কর্মচারীদের জন্য দারুন কি খবর‌। জানা যাচ্ছে ২০০৩ সালে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কর্মী মন্ত্রক কতৃক জারি করার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যে সমস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চাকরি পেয়েছেন তারা পুরনো পেনশনের অধিকারী বলেই বিবেচিত হবেন।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কর্মী মন্ত্রকের সচিব নারায়ণের একটি চিঠি সামনে এসেছে যেখান থেকে জানা যাচ্ছে আইএএস অফিসার থেকে শুরু করে অন্যান্য যে কোন সরকারি কর্মচারী এই পেনশন পাওয়ার যোগ্য। এমনকি এই পুরনো পেনশন গঠন প্রক্রিয়া নিয়েও কাজ শুরু করা হয়েছে।

মন্ত্রকে চিঠি অনুসারে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর কর্মচারীরা এই পুরনো পেনশনের আওতায় আসবেন না। তবে যারা এর আওতায় আসছেন তাদের 31 আগস্ট ২০২৩ এর মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে। এদিকে যারা ২০০৪ সালের পর নতুন চাকরি পেয়েছেন তারাও ক্রমাগত পুরনো পেনশনের জন্য আবেদন করে গেছেন।
কিন্তু তাদের আবেদন মঞ্জুর করা হবে কিনা সেই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সচীবের বক্তব্য অনুযায়ী ভবিষ্যতে ২০০৪ সালের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের পুরনো পেনশনের সুবিধা দেওয়া হবে কিনা সেটা সময় বলবে।

উল্লেখ্য ২০০৩ সালে ডিসেম্বরে পুরনো পেনশন ব্যবস্থা তুলে দিয়েছিল তৎকালীন এনডিএ সরকার‌। এরপর ২০০৪ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল নতুন পেনশন ব্যবস্থা। কিন্তু এত বছরেও পুরনো-নতুন পেনশন প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক কমেনি। আসলে পুরনো পেনশন প্রকল্পে সরকার পুরো পেনশন দিত, তবে ২০০৪ সাল থেকে চালু হওয়া নতুন ব্যবস্থায় রাজ্য সরকার একাংশ দেয়। সেই সঙ্গে কর্মী কেউ দিতে হয় তাদের বেতনের দশ শতাংশ।

কিন্তু কেউ যদি পুরাতন পেনশনের অধীনে নিজেকে নথিভুক্ত করতে চান তবে তাকে সেই বিকল্পটি নির্বাচন করতে হবে। যদি কোন কর্মচারী সরকার নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত এই বিকল্পটি নির্বাচন না করেন তবে তিনি শুধুমাত্র NPS এর সুবিধা পাবেন। আর পুরাতন পেনশন বেছে নিলে ৩১ অক্টোবর ২০২৩ এর মধ্যে তাদের NPS অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত রাজ্য কেন্দ্রের সরকারি সংস্থায় পুরনো পেনশন কার্যকর করার দাবি জোরালো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কর্মী মন্ত্রকের চিঠি সরকারি কর্মীদের স্বস্তি দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।