
মূল্য বৃদ্ধির কারণে মন্দার বাজার টু হুইলার গাড়ির মার্কেটে। যত দিন যাচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম। যার ফলে দাম বাড়ছে দু চাকার। আর এই মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাজারে গাড়ি চাহিদায় পড়ছে ভাটা। তবে এই মন্দা কাটিয়ে বাজারকে উর্দ্ধমুখী করার জন্য তৎপর হয়ে উঠল দু চাকার গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন FADA।
বিগত কয়েক মাসের দুই চাকার বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম বাড়ার ফলে বিভিন্ন মডেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে নির্মাতারা। ফলস্বরূপ, গ্রামাঞ্চলের দিকে এই দুই চাকার চাহিদা একেবারে নিম্নমুখী হয়েছে। মধ্যবিত্তরা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে একেবারে নাকানি-চোবানি খাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতি দেখে দেশের দু চাকার শিল্পকে চাঙ্গা করতে জিএসটি কাউন্সিলের কাছে আর্জি ফাডা সংগঠনের।
সকল দেশবাসী সাক্ষী রয়েছে অতিমারি করোনার পর থেকে দেশে বাজারে মূল্যবৃদ্ধি কতটা উর্ধ্বমুখী হয়েছে। প্রতিনিয়ত কমার বদলে বেড়েই চলেছে জিনিসপত্রের দাম। আর এই দাম বৃদ্ধির ফলে কোম্পানিগুলিও দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০১৬ সালে যেখানে Honda Activa-র দাম ছিল ৫২,০০০। তা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮,০০০ টাকায়।
অন্যদিকে, বাজাজ পালসার গাড়িতেও এই মূল্য বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। ২০১৬ সালে যেখানে বাজাজ পালসার-এর গাড়ি বিক্রি হত ৭২ হাজার টাকায়। তা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। তাই ফাডা সংগঠনের উক্তি, এই মূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশে হ্রাস পাচ্ছে দুই চাকার চাহিদা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে টু হুইলার বিক্রির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ থেকে ৭২ শতাংশে। প্রায় ৬ শতাংশ কমে গিয়েছে।
আর এই পরিস্থিতি দেখে দেশের টু হুইলার সংস্থাগুলির সংগঠন ফাডা একটি চিঠি লিখে মোটরসাইকেল ও স্কুটারের উপর আরোপিত জিএসটির পরিমাণ হ্রাস করার অনুরোধ জানিয়েছে জিএসটি কাউন্সিলের কাছে। ওই চিঠিতে ফাডা জানিয়েছে, আরোপিত ২৮ শতাংশ জিএসটি কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হোক। এর ফলে দেশে টু হুইলার বিক্রির চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। ফলে ২০১৯ সালে যে মন্দা দেখা দিয়েছিল তা কাটিয়ে উঠতে পারবে দুই চাকার সংস্থাগুলি।
তবে শুধু জিএসটি কাউন্সিলের কাছে নয়, ফাডা এই জিএসটির পরিমাণ কমানোর আর্জি জানিয়েছে দেশের অর্থমন্ত্রী, জিএসটি কাউন্সিল, জিএসটি কাউন্সিলের সকল সদস্য, ভারী শিল্প মন্ত্রক এবং সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রকের কাছে। তবে ফাডার এই অনুরোধ সফল হয় কিনা সেটাই দেখার।