কালো টমেটো চাষ করেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম, এইভাবে তুলে নিন ফায়দা

আমাদের দেশ ভারত বর্ষ কৃষিপ্রধান দেশ। দেশের জনগণের একটা বৃহৎ অংশ আজও কৃষি কাজের উপরেই নির্ভশীল। দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে তাল মিলিয়ে প্রয়োজন তাদের খাদ্যের সংস্থান করা। খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন করার লক্ষ্যে সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের সনাতন পদ্ধতির পাশাপাশি নিত্য নতুন পদ্ধতিতে ফসল ফলানোর বিষয়েও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এতে যেমন দেশের কৃষকরা সফলতা পেয়েছেন, সেই সঙ্গে খাদ্যের ব্যাপারে অনেকটাই পরনির্ভরতা কাটিয়ে ওঠা গেছে।
আজকের প্রতিবেদনে তেমনই একটি ফসলের কথা বলা হয়েছে। এটির চাহিদাও যেমন দেশে উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে তেমনই কৃষকদের প্রচুর আয়েরও উৎস হয়ে উঠেছে। এই ফসলটি হলো কালো টমেটো (Black Tomato)। তবে এই কালো টমেটো (Black Tomato) সম্পর্কে খুব কম লোকই জানেন। তবে টমেটোর চিরাচরিত রংয়ের বাইরে এর একটি স্বতন্ত্র পরিচয়য় থাকার কারণে খরিদ্দারদের কাছে বিশেষ চাহিদা রয়েছে। তবে শুধু রঙেই এর স্বতন্ত্রতা নয় কালো টমেটোর বিশেষ কিছু ঔষধি গুনাগুন রয়েছে।
এই টমেটোর একটি দারুন গুন হল এটি লাল টমেটো তুলনায় অনেক বেশি দিন তাজা থাকে। শুধু কালো টমেটো শুধু তরকারি হিসেবেই খাবারে ব্যবহৃত হয় এমন নয়। এই টমেটোর প্রচুর ঔষধি গুণ ও বর্তমান। এই টমেটো স্বাদে খুব একটা টকও নয় আবার মিষ্টিও না বরং খানিকটা নোনতা। এই টমেটো ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া ওজন কমাতে, চিনির মাত্রা ঠিক রাখতে এবং শরীরে কোলেস্টেরল কমাতে এই টমেটো একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
লাল টমেটোর মত কালো টমেটো উষ্ণ জলবায়ুর ফসল। সেই কারণে কালো টমেটো চাষের জন্য ভারতের উষ্ণ মৌসুমী জলবায়ু খুবই উপযোগী। এই টমেটো চাষ করার জন্য জমির পিএইচ মাত্রা হওয়া উচিত ছয় থেকে সাতের মধ্যে। তবে কালো টমেটো লাল টমেটো মত এত দ্রুত ফসল দেয় না। কালো টমেটোর চাষ ভারতের জলবায়ুতে ভালো হলেও এর চাষের শুরু ইংল্যান্ড থেকে। ভারতের বাজারে কালো টমেটো এখনো পর্যন্ত লাল টমেটোর মত অধিক জনপ্রিয়তা না পেলেও ইউরোপের বাজারে একে ‘সুপারফুড’ (Super food) বলা হয়ে থাকে। একে ইন্ডিগো টমেটো বলা হয়ে।
লাল টমেটোর মত কালো টমেটো শীতকালেই ভালো ফলে থাকে। তাই কালো টমেটোর বীজ বোনার আদর্শ সময় হলো জানুয়ারি মাস। আর মার্চ মাস নাগাদ এই গাছের ফলন শুরু হয়। কালো টমেটো চাষের অন্যান্য টমেটোর মত এত খরচ করার দরকার হয় না। তবে এই টমেটোর বীজের দাম লাল টমেটোর থেকে খানিকটা বেশি। তাহলেও সমস্ত খরচ পুষিয়ে হেক্টর প্রতি চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা লাভ করা সম্ভব।