
পরপর দু’বছর করোনার প্রভাবে বহু মানুষ হারিয়েছেন তাদের চাকরি। তার ওপর বর্তমানের চাকরিতে এত প্রতিযোগিতা যে, বহু সংখ্যক যুবক-যুবতীরা আজও পরীক্ষা দিয়ে বেকার হয়ে বসে আছে। এর ফলে দারিদ্রতা যেন পিছু ছাড়ছে না এক বিরাট সংখ্যার মানুষের। সেক্ষেত্রে চাকরির জন্য বসে না থেকে শুরু করার যেতে পারে ছোটখাটো কোন ব্যবসা (Small Business)।
ব্যবসা মানেই যে কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ, তেমনটি একদম নয়। এমনকি অনেক ব্যবসাতে লাখ টাকাও খরচ না করতে হতে পারে। আপনার কাছে যদি ৫০ হাজার টাকা থেকে থাকে, তবে আপনিও শুরু করতে পারেন এক দুর্দান্ত লাভজনক ব্যবসা। আজকের প্রতিবেদনে জানাবো এরকম একটি দারুণ ও সহজ ব্যবসার উপায়।
ব্যবসাটি হল স্টেশনারি (Stationary) জিনিসপত্রের ব্যবসা। আজকাল প্রতিটি ঘরে ঘরে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করছে। এর ফলে খাতা, বই, পেন, পেন্সিল ইত্যাদির চাহিদা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মানুষ দুবেলা দুমুঠো খেতে পারুক না পারুক ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য তারা খাতা, বইয়ের যোগান দিতে সব সময় তৎপর। তাই এই সমস্ত জিনিসপত্রের চাহিদা সর্বদাই তুঙ্গে থাকে। এই চাহিদাকে কেন্দ্র করে আপনি গড়ে তুলতে পারেন আপনার স্টেশনারি দোকান।
এর জন্য বেশি কিছু করতে হবে না। আপনার ধারে কাছে কোন স্কুল, কলেজ বা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি একটি ৩০০ থেকে ৪০০ বর্গ মিটারের জায়গা থাকলেই আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনার যদি পুঁজি থাকে তবে আপনি একটি নিজের দোকান করে তারপর ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন অথবা আপনার পুঁজি কম থাকলে আপনি স্কুল-কলেজ ইত্যাদির পাশাপাশি জমজমাট এলাকাতে একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে এই ব্যবসাটি চালু করতে পারেন।
দোকানের ব্যবসার জন্য আপনার দরকার খাতা, বই, পেন, পেন্সিল, রবার, পেন্সিল বক্স, বোর্ড, স্কেচ পেন, রঙ পেন্সিল, পেন্সিল কাটার কল, বইয়ের কভার, স্টিকার, রিবন ইত্যাদি। আপনি যদি ব্যবসাকে আরও বাড়াতে চান তবে পড়াশোনার জিনিসের পাশাপাশি জলের বোতল, টিফিন বক্স, বাচ্চাদের টুকটাক খেলনা ইত্যাদিও রাখতে পারেন। স্কুল বা কলেজ থেকে বেরিয়ে পড়ুয়াদের চোখ যাতে আপনার দোকানের দিকেই পড়ে, তাই সুন্দর সুন্দর স্টেশনারি জিনিসগুলোকে সামনে সাজিয়ে রাখুন। এর ফলে ক্রেতার ভিড় জমবে এবং আপনার ব্যবসাও চলবে রমরমা।