নিউজ

পশ্চিমবঙ্গের বাজারে ছেয়ে গেছে নকল আলু? বিপদ এড়াতে শীঘ্রই জেনে নিন আসল আলু চেনার উপায়

ভেজালে ছেয়ে গেছে চারিদিক। এবার বাজারে এলো চন্দ্রমুখীর নামে নকল হেমাঙ্গিনী আলু। যার দাম চন্দ্রমুখী দামের অর্ধেক। এই আলু দেখতে হুবহু চন্দ্রমুখীর মতোই। ফলে খালি চোখে চন্দ্রমুখীর সাথে এই আলুর পার্থক্য করা খুবই জটিল বিষয়। তবে আজকের এই প্রতিবেদনে জানানো হবে চন্দ্রমুখী এবং হেমাঙ্গিনী আলুর পার্থক্য। যার ফলে আর ঠকতে পারবে না ক্রেতারা।

সূত্রের খবর জানা গিয়েছে, বেশকিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের ঠকিয়ে চন্দ্রমুখি আলুর নামে বিক্রি করছে হেমাঙ্গিনী আলু। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের ক্রেতারা ঠকছে এই আলু কিনতে গিয়ে। মূলত, চন্দ্রমুখীর তুলনায় এই আলুর ফলন খুব কম সময়ে হয়। এমনকি এই আলুর স্বাদ এবং চন্দ্রমুখীর স্বাদ একই রকম। তবে এই আলুর সাথে চন্দ্রমুখী আলুর কিছু অমিল খুঁজে পেয়েছে চাষীরা। যা আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানানো হবে।

সম্প্রতি হুগলি জেলার এক চাষি কর্মদক্ষ মনোজ চক্রবর্তী এই আলুর সাথে চন্দ্রমুখী আলুর পার্থক্য সম্পর্কে জানিয়েছে। তার কথায় এই দুই আলুর খোলা খুবই পাতলা। যার ফলে এই আলু দুটির পার্থক্য করা খুবই কঠিন। তবে বেশ কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। তিনি জানিয়েছেন, চন্দ্রমুখী আলুর উপরে নতুন চার চোখা থাকে যেখানে আঙুল দিয়ে টিপলে ফুট করে শব্দ হয়। যা অন্য কোনো আলুতে হয় না। তাই চন্দ্রমুখী আলু কেনার ক্ষেত্রে এদিকটা লক্ষ্য করা উচিত ক্রেতাদের।

এছাড়াও আরো একটি পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে চন্দ্রমুখী এবং হেমাঙ্গিনী আলুর মধ্যে। চন্দ্রমুখী আলুর ভিতরের রং হয় বাসন্তী। কিন্তু অন্যদিকে, হেমাঙ্গিনী আলুর রং হয় সাদা। হুগলি জেলার পুরশুড়া ও তারকেশ্বর অঞ্চলে এই আলুর চাষ হয়। জানা গিয়েছে, এই আলুর দাম ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ীরা চন্দ্রমুখী আলুর দরে অর্থাৎ ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে এই আলু।