
কম-বেশি বহু মানুষই পরিবহন মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন রেলপথকে বা রেল পরিবহনকে। এছাড়া গ্রাম থেকে শহরে কাজের উদ্দেশ্যে যেসব মানুষরা যান প্রতিদিনই রেলপথেই যাতায়াত করে। এতে খরচ অনেক কম হয় এবং আরামেও যাওয়া যায়। তবে ট্রেনে যাতায়াত করলেও ট্রেন সম্পর্কে বেশ কিছু ধারনায় জ্ঞাত নয় ট্রেনযাত্রীরা। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে ট্রেন সম্পর্কে এমনই এক অজানা তথ্য জানানো হবে সকলকে। তাই মন দিয়ে পড়ুন এই প্রতিবেদনটি।
গণপরিবনের এক অন্যতম মাধ্যম হলো রেলপরিবহন। তবে এই রেল পরিবহনের মাধ্যমে অনেকে যাতায়াত করলেও এই রেল সম্পর্কে বেশ কিছু ধারনা সম্পর্কে অজ্ঞাত। তার মধ্যে একটি ধারণা হলো ট্রেনের ইঞ্জিন চালু ও বন্ধ করা। অনেকেই হয়তো লক্ষ্য করেন না যে প্রত্যেক স্টেশনে ট্রেন থামলে তার ইঞ্জিন কেন বন্ধ করা হয় না? আর সেই বিষয়েই আজকের এই প্রতিবেদনে জানানো হবে।
প্রথমত, ট্রেনে ব্যবহার করা হয় কম্প্রেসার ব্রেক। আর সেই ব্রেক ঠিকঠাক কাজ করার জন্য চাই সঠিক বাতাসের চাপ। আর সেই কারণেই ট্রেনের ইঞ্জিন বন্ধ করা হয় না। এছাড়াও ডিজেল ইঞ্জিনগুলিতে দরকার হয় ব্যাটারি ও সম্পূর্ণ চার্জের। ফলে বারবার ইঞ্জিন বন্ধ করলে সেই চার্জ নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্রত্যেক স্টেশনে ট্রেন থামলে ইঞ্জিন বন্ধ করা হয় না।
অন্যদিকে, ট্রেনের ইঞ্জিন বন্ধ না করার আরো এক কারণ রয়েছে। তা হল সময়। অর্থাৎ ট্রেনের ইঞ্জিন চালু এবং বন্ধ করতে বেশ অনেকটাই সময় লাগে। ফলে কোনো স্টেশনে ট্রেন কয়েক সেকেন্ড বা মিনিটের জন্য জানালে সেই ট্রেনের ইঞ্জিন বন্ধ করে আবার চালু করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রত্যেক স্টেশনে ট্রেন থামলে ট্রেনের ইঞ্জিন বন্ধ করা হয় না।