নিউজটেক নিউজ

Smart Card: গাড়ি চালকদের জন্য চালু হল অত্যাধুনিক ‘স্মার্ট কার্ড’, কি কি সুবিধা পাবেন জানালেন পরিবহন মন্ত্রী

ড্রাইভিং লাইসেন্স হিসেবে আর কোনো কাগজপত্র নয়। পরিবহন মন্ত্রী সূচনা করলেন অত্যাধুনিক ড্রাইভিং লাইসেন্স। যে কার্ডের মধ্যে থাকবে ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ যাবতীয় গাড়ির তথ্য। গত বৃহস্পতিবার বেলতলা মোটর ভেহিকেলস-এ স্মার্ট কার্ডের সূচনা করলেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কিভাবে পাওয়া যাবে এই স্মার্ট কার্ড? সবকিছুই পরিষ্কার করে জানিয়ে দিলেন তিনি।

স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর কথায়, ব্লু বুকটাই হল এই স্মার্ট কার্ড। যা অনলাইনে আবেদন করলে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে বাড়িতে। এই স্মার্ট কার্ডের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ গাড়ি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সব তথ্যই থাকবে। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হয়েছে এই কার্ড। এতে রয়েছে চিপসেট। কিউ আর কোডও দেওয়া রয়েছে স্মার্ট কার্ডে। যা ভারতের সব জায়গায় কার্যকরী হবে।

এর পাশাপাশি পরিবহন মন্ত্রী এও জানিয়েছেন যে, পূর্বে বেশ কিছু জায়গায় কার্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই কার্ড স্থানীয়ভাবে তৈরি করা। বর্তমান স্মার্ট কার্ডের সাথে সেই কার্ডের অনেক তফাৎ রয়েছে। তবে এই স্মার্ট কার্ডের সূচনা করাতে নানারকম প্রশ্ন উঠেছে জনমানসে। পুরোনো যাদের লাইসেন্স রয়েছে তারা কি এই স্মার্ট কার্ড পাবে? কিভাবে পাবে?

এই বিষয়ে স্নেহাসিশ চক্রবর্তী বলেছেন, যাদের লাইসেন্স রয়েছে তারাও এই স্মার্ট কার্ডের সুবিধা পাবেন। তবে তার জন্য তাদের ২০০ টাকা ফিজ দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ২০০ টাকা খরচ করলেই সেইসব ব্যক্তিরা স্পিড পোস্টের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড পেয়ে যাবেন।

অন্যদিকে, এই স্মার্ট কার্ডে চিপ ব্যবহার করায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের কাছে কি এমন কোনো ডিভাইস আছে যা দিয়ে চিপ পড়া যাবে? পরিবহণ মন্ত্রী জানিয়েছেন, এটি বিশেষ ক্ষেত্রের ব্যাপার। তাই পুলিশের কাছে সেই ম্যানেজমেন্ট রয়েছে।

তবে এত কিছু হলেও পরিবহন মন্ত্রীর কথায়, সাধারণ মানুষ চায় বাস পরিষেবা। কিন্তু কেউ ভাবতে চায় না তা কে অপারেট করছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, ফ্রাঞ্চাইজি মোডে বাস আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যার ভাড়া সরকার নির্ধারিত থাকবে। দ্রুতগতিতে ফিট করা হচ্ছে বাসগুলি।