লাইফস্টাইল

ঘরের এই কোনে রাখুন ময়ূরের পালক, পড়াশোনায় মন বসবে, লাভ হবে প্রচুর ধন-সমৃদ্ধি

ভারতের জাতীয় পাখি ময়ূর। তবে এই ময়ূরের পালকের রয়েছে বহুগুণ। যা এক ঝটকায় মানুষকে গরিব থেকে ধনী বানিয়ে দেয়। তবে তার রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম। সুখের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ময়ূরকে। তবে এই ময়ূরের পালক ঘরে সুখ-শান্তি আনতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু যেকোনো জায়গায় এই ময়ূরের পালক রাখা যাবে না। সুখ-শান্তি, ধন-সম্পদ লাভ করার জন্য বাড়ির ঠিক জায়গায় রাখতে হবে এই ময়ূরের পালক। তাই চলুন সময় নষ্ট না করে জেনে নেওয়া যাক গৃহের কোন দিকে ময়ূরের পালক রাখলে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

সুখ-শান্তির আগমন – বাস্তুবিদদের মতে গৃহে সুখ-শান্তি আনতে দুর্দান্ত কার্যকরী ময়ূরের পালক। বিশেষত বিবাহিত জীবনে। কোনো ব্যক্তি যদি তার শোবার ঘরে এই ময়ূরের পালক রেখে দেয় তাহলে তাদের বিবাহিত জীবনে সুখ ও শান্তির অভাব দেখা যাবে না। মনোমালিন্য দূর করে তাদের মধ্যে প্রেম বৃদ্ধি পাবে।

ঝগড়া অশান্তি দূর হওয়া – নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ করতে বেশ উপযোগী এই ময়ূরের পালক। অনেকেই হয়তো গৃহে সুন্দরতার জন্য ময়ূরের পালক লাগান। তবে ঠিক জায়গায় এই ময়ূরের পালক লাগালে তা বাড়ির ঝামেলা অশান্তিকে দূর করতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বসার ঘরের পূর্ব দেয়ালে ময়ূরের পালক লাগালে তা গৃহে ঝামেলা দূর করে গৃহে শান্তি বজায় রাখে।

ধন-সমৃদ্ধি লাভ – বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ময়ূরের পালক বাড়িতে রাখলে ধন-সমৃদ্ধি লাভ হয়। তবে যেকোনো জায়গায় নয়। তার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট জায়গা। বাস্তবিদদের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পালক রাখা অত্যন্ত শুভ। প্রসঙ্গত, পূর্ব দিকের অধিপতি হলেন সূর্যদেব এবং ইন্দ্রদেব। তাই পূর্বদিকে ময়ূরের পালক রাখা অত্যন্ত শুভ। তবে কেউ চাইলে উত্তর-পশ্চিম দিকে রাখতে পারেন।

আশীর্বাদে পরিপূর্ণ – বাস্তুবিদদের মতে যেসব ব্যক্তিদের রাহুর দোষ থাকে তাদের ক্ষেত্রে গৃহে ময়ূরের পালক রাখা অত্যন্ত শুভময়। এক্ষেত্রে উত্তর-পশ্চিম দিক সেই সব ব্যক্তিদের জন্য ভালো। ফলস্বরূপ, উত্তর-পশ্চিম দিকে এই রাহুর দোষ যুক্ত ব্যক্তিরা ময়ূরের পালক রাখলে সেই দোষ কাটে এবং আশীর্বাদে পরিপূর্ণ হয়।

পড়াশোনায় উন্নতি – অনেকেরই পড়তে বসলে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। পড়াতে মন বসে না। তবে এক্ষেত্রেও ময়ূরের পালক অত্যন্ত সুবিধাজনক। লক্ষ্য করলে দেখবেন অনেকেই পড়ার টেবিলে ময়ূরের পালক রেখে দেন। ময়ূরের পালক পড়ার টেবিলে বা যেখানে পড়েন সেই জায়গায় রেখে দিলে পড়াশোনায় মন বসে। অর্থাৎ বলা যায় শিক্ষা অর্জনে ময়ূরের পালকের একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।