ক্লাস ৪-এর ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব বছর ৫৭-র স্কুল শিক্ষকের, তারপরের ঘটনা…

ক্লাস ৪-এর ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রস্তাব এক ৫৭ বছর বয়সী শিক্ষকের। সরাসরি অভিভাবককে এই প্রস্তাব দেন ওই শিক্ষক। এছাড়াও স্কুলে অন্যান্য টিচারদের সাথে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ ওঠে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক সময়ে সেই নিয়েই তোলপাড় নদিয়ার গাংনাপুরের চিনাপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সময়ে ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন করছে সরকারি কর্মচারীরা। এছাড়াও, চারিদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও চলছে তুমুল আলোচনা। তবে তার মাঝেই স্কুলে না গিয়ে প্রতিমাসে বেতন পাচ্ছেন নদিয়ার গাংনাপুরের চিনাপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়েল এক শিক্ষক। তবে তার পিছনে রয়েছে এক বিরাট ঘটনা। সেই নিয়েই উঠেছে অভিযোগ।
সূত্রের খবর জানা গিয়েছে, ৫৭ বছর বয়সী এই শিক্ষকের নাম পরিমল কুমার বাইন। ২০১৩ সালে অন্য স্কুল থেকে বদলি হয়ে আসেন চিনাপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তবে এই স্কুলে সহকারী এবং মিড ডে মিলের রাঁধুনীদের সাথে অসভ্য আচরণ করায় ২০১৯ সালে তিনি বদলি হন সরিষাডাঙ্গার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তবে পরবর্তীতে তিনি আবার স্কুলে ফিরে আসেন। তারপরে আরো এক ঘটনা ঘটায় এই শিক্ষক। আর তারপরেই তাকে স্কুল থেকে তুলে নেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে চিনাপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ফিরে এসে এই শিক্ষক ক্লাস ফোরের এক ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। ওই ছাত্রীর অভিভাবককে ফোন করে বিয়ের প্রস্তাব দেন এই শিক্ষক। তারপর এই শিক্ষকের উপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয় স্কুলের সকলে। তারপরেই অবর বিদ্যালয়ের পরিদর্শক কাছে অভিযোগ করা হয় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তারপরই তাকে তুলে নেওয়া হয় স্কুল থেকে। তবে বর্তমানে তিনি অবর বিদ্যালয়ের পরিদর্শকের অফিসে হাজিরা দিয়ে বেতন পান বলে অভিযোগ।
তবে ওই স্কুল শিক্ষক জানিয়েছেন, তিনি স্কুলের ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তিনি বাড়িতে বসে থাকতে চান না। তিনি স্কুলে যেতে চান। কিন্তু তাকে নিষেধ করা হয়েছে। তবে অন্যদিকে অবর বিদ্যালয়ের পরিদর্শক বলেছেন, তিনি এই যে প্রস্তাব দিয়েছেন বা অশালীন আচরণ করেছেন তা তিনি সুস্থ মানসিকতায় করেননি।