নিউজঅফবিট

কাটতে হবে না টিকিট, দিতে হবে না ভাড়া, একদম ফ্রীতে ট্রেন সফর

সাধ্যের খরচে দূরবর্তী স্থানে ঘুরে আসার এক অন্যতম মাধ্যম হলো রেল পথ বা রেল পরিবহন। এছাড়াও, গ্রামের বহু মানুষ কাজের সূত্রে শহরে যেতে বেছে নেন রেলপথকেই। এই রেল পরিবহনের মাধ্যমে আরামে ভ্রমণ করা যায় দূরবর্তী স্থানে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই রেল পরিবহনকে উন্নত করতে নানা রকম পন্থা অবলম্বন করছে ভারতীয় রেল। সম্প্রতি এই রেল পরিবহনের এক গোপন ট্রেনের খবর পাওয়া গেছে। যেখানে চড়তে গেলে লাগে না কোনো টিকিট বা ভাড়া। চলুন সেই ট্রেন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

অনেকেই হয়তো এই কথাটি শুনে ভাববেন যে বোকা বানানো হচ্ছে। কিন্তু তা নয়, সত্যিই ভারতে রয়েছে এমন এক ট্রেন যে ট্রেনে চড়তে গেলে কোনো টিকিট কাটতে হয় না, কোনো ভাড়ার প্রয়োজন পড়ে না বা কোনো টিটি এসে টিকিটও দেখেনা। জানেন সেই ট্রেনটির নাম কি? এই ট্রেনটির নাম হল ভাকরা-নাঙ্গাল ট্রেন। যা চলাচল করে পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের সীমান্তে।

বহুদিনের পুরনো এই ট্রেন। পূর্বে বাষ্প ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হতো এই ট্রেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ডিজেলে চলাচল করে এই ট্রেন। প্রসঙ্গত, 1948 সালে প্রথম ভাকরা এবং নাঙ্গালের মধ্যে চলাচল শুরু করে এই ট্রেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে এই ট্রেনে। আগের তুলনায় বগি কমানো হয়েছে এই ট্রেনে। এখন এই ট্রেনের বগি সংখ্যা হয়েছে তিনটি। মূলত, এই ট্রেনটি পাহাড় কেটে তৈরি করা ট্র্যাকে চলে। তবে মাঝখানে এই ট্রেনের ফি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়ার কথা উঠেছিল। তবে পরবর্তীতে ভাকরা ম্যানেজমেন্ট বোর্ড তাদের উত্তরাধিকার হিসেবে এই ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।

জানা গিয়েছে, এই বিনামূল্যের ট্রেন প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। মূলত পর্যটকদের জন্যই চালিত হয় এই ট্রেন। এই ট্রেনের পরিচালনা করেন ভাকরা ম্যানেজমেন্ট বোর্ড। বিশেষত পর্যটকরা ভাকরা-নাঙ্গাল বাঁধ দেখার জন্যই এই ট্রেনে চড়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য অনুভব করে। এছাড়াও, এই ট্রেনে করে যাওয়ার সময় পর্যটকরা দেখতে পান সুতলজ নদী এবং শিবালিক পাহাড়। তাই বিনা খরচায় বিনা টিকিটে ঘুরে আসুন ভাকরা-নাঙ্গালের এই ট্রেনে।