নিউজ

‘আপনাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত’, মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একের পর এক পদক্ষেপ মমতা সরকারের

এবার থেকে ষাটোর্দ্ধো মহিলারাও পাবেন ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য বাজেট কথা মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায়। নারী শক্তিকে বাঁচানোর জন্য এই নয়া সুবিধার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। প্রতিমাসে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মহিলারাও ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের মাধ্যমে পাবে ১০০০ টাকা। তবে তারা বার্ধক্য ভাতাও কি পাবে? সেই বিষয়ে খোলসা করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায়।

সম্প্রতি পেশ হওয়া রাজ্যের বাজেটে ঘোষণা করা হয় ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের অধিক সুবিধা সম্পর্কে। আর তারপরেই মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায় এই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জনসাধারণের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত। তারা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে হাত খরচা পাবে।

তবে এদিন মেদিনীপুর প্রশাসনিক সভায় বিজেপিকে তীব্র নিশানা করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। মেদিনীপুরের ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী দোষারোপ করলেন কেন্দ্রকে। তিনি এদিন সভায় বলেন, রাজ্যের যতটা সাধ্য তা খরচা করছে। তবে কেন্দ্রকেও তো টাকা পাঠাতে হবে না হলে কি করে প্রকল্প বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে? কেন্দ্র না টাকা পাঠানোর জন্যই ঘাটালের এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে রাজ্য যথেষ্ট তার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। কিন্তু রাজ্যবাসীর অনেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এদিন রাজ্যবাসীদের জন্য বিশেষত রাজ্যের মহিলাদের জন্য এক সুখবর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, পূর্বে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত ছিলেন। তবে এবার থেকে ষাটোর্দ্ধো মহিলারাও ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তবে এর পাশাপাশি বার্ধক্য ভাতা পাবেন কি? এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ষাটোর্দ্ধো মহিলারা বার্ধক্য ভাতার পাশাপাশি ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের ১০০০ টাকা করেও প্রতি মাসে পাবেন। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে সাধারণ মহিলারা পায় ৫০০ টাকা। অন্যদিকে, তপশিলি উপজাতিরা পায় ১০০০ টাকা।