নিউজঅর্থনীতি

Fixed Deposit: ভরসা এখন ফিক্সড ডিপোজিটেই! সবচেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে কোন ব্যাঙ্ক? দেখুন সম্পূর্ণ তালিকা

আমাদের উপার্জিত অর্থ আমরা কোথায় সঞ্চয় করব এই নিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন রকম ধারণা পোষণ করেন। মিউচুয়াল ফান্ড শেয়ার মার্কেটে অতি দ্রুত লাভ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এখনো বহু মানুষ ডিপোজিটেই ভরসা রাখছেন। তবে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের বিভিন্ন রকম সুদের হারের জন্য আমানতকারীরা একটু চিন্তাতেই থাকেন যে কোন ব্যাংকে স্থায়ী আমানত করলে তিনি লাভবান হতে পারেন।

স্থায়ী আমানতের সুদ বাড়াচ্ছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংকের রেপো রেট বাড়ানোর সাথে সাথে। বেশ কিছু বেসরকারি ব্যাংক ২ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের উপর সুদ বাড়িয়েছেন। বর্তমানে সাধারণ গ্রাহকরা ৩.৫% থেকে ৭%পর্যন্ত সুদ পাচ্ছেন এবং প্রবীণ গ্রাহকরা চার% থেকে ৭.৫০% পর্যন্ত সুদ পাচ্ছেন। ইন্দাসিন্ড ব্যাংকের মতো বেসরকারি ব্যাংক দু’বছর থেকে তিন বছরের স্থায়ী আমানতে তিন মাসে সাধারণ মানুষকে ৭.৫০% সুদ দিচ্ছে। আর প্রবীণ নাগরিকরা পাচ্ছেন ৮.২৫ %সুদ।

এই বেসরকারি ব্যাংকে ৭ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে স্থায়ী আমানতে গ্রাহক সুদ পাচ্ছেন ৩.৫০% এবং ৩১ দিন থেকে ৪০ দিনের মধ্যে স্থায়ী আমানতে সুদ পাওয়া যাচ্ছে ৪০%। কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংক এ স্থায়ী আমানতের সাধারণ নাগরিক সুদ পাচ্ছেন ৭.২০% এবং প্রবীণ নাগরিক সুদ পাচ্ছেন ৭.৭%। ১৫থেকে ৩০ দিনের স্থায়ী আমানতের সুদের হার এখানে পাওয়া যাচ্ছে ৩% হারে এবং ৩১ থেকে ৪০ দিনের সুদের হার পাওয়া যাচ্ছে ৩.২৫%। ভারতের সবথেকে বৃহত্তর ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া সাধারণ গ্রাহককে সুদ দিচ্ছে তিন শতাংশ থেকে ৭.২০% পর্যন্ত এবং প্রবীণ গ্রাহকদের জন্য এই সুদের হার রয়েছে ৩.৫০% থেকে ৭.৬০% পর্যন্ত।

ফিক্সড ডিপোজিট এর মত এই স্থায়ী আমানত একদম ঝুঁকিবিহীন। পূর্ব নির্ধারিত সুদের মেয়াদ পাওয়া যায় এই স্থায়ী আমানতে। ফিক্সড ডিপোজিট শেয়ার মার্কেটের মত যেমন ঝুঁকিপূর্ণ নয় সেটি বোঝাও যথেষ্ট সহজ। সে কারণে FD একাউন্ট খোলাও যথেষ্ট সহজবোধ্য। স্বল্পমেয়াদী আমানত করলে খুব কম দিনের মধ্যেই টাকা হাতে চলে আসতে পারে আর দীর্ঘ মেয়াদী আমানত করলে সুদের হার বেশি পাওয়া সম্ভবনা থাকে।

ফিক্সড ডিপোজিটে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া গেলেও মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে কেমন সামঞ্জস্য রেখে সুদের হার বাড়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। তাই এই আমানতে একটি লিংক লাইন থাকে সে কারণে আপনি চাইলে নির্দিষ্ট দিনের আগে টাকা তুললে আপনার জরিমানা হতে পারে। এই ফিক্সড ডিপোজিট থেকে প্রাপ্ত সুদ আয়কর স্ল্যাব অনুযায়ী করযোগ্য,এতে কম রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।