ভুলে যান দীঘা-পুরী-দার্জিলিং, ঘুরে আসুন কলকাতার কাছে “মিনি কাশ্মীর” থেকে

ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা কম-বেশি অনেক মানুষেরই রয়েছে। তবে অনেকেই অর্থের কথা ভেবে সেই ইচ্ছা পূরণ করতে পারে না। তবে চিন্তা নেই। কম খরচেই ঘুরে আসতে পারবেন নিজের পছন্দের জায়গা কাশ্মীর। উড়িষ্যাতেই রয়েছে এই জায়গা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে পৌঁছানো যাবে সেই জায়গায়।
প্রচুর অর্থ খরচ করে যেতে হবে না ভূস্বর্গ কাশ্মীরে। উড়িষ্যার কান্ধামাল জেলার শৈলশহরের দারিংবাড়ি থেকে ঘুরে আসুন। যা উড়িষ্যার কাশ্মীর হিসেবে খ্যাত। ভূস্বর্গ কাশ্মীরের অনুকরণে তৈরি হয়েছে উড়িষ্যার এই দারিংবাড়ির সৌন্দর্য। শীতের সময় এই জায়গায় তাপমাত্রা মাইনাসে চলে যায়। ফলে কাশ্মীরের মতো এখানে বরফ পড়তেও দেখা যায়। তাই কাশ্মীরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে কম খরচে ঘুরে আসুন উড়িষ্যার দারিংবাড়ি থেকে।
জানা গিয়েছে, ইংরেজ সরকারের অনুমতি নিয়ে দারিং সাহেব উড়িষ্যার কান্ধামাল জেলার শৈলশহরের এই জায়গাটিকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলে। আর তারপর থেকেই এই জায়গাটি দারিংবাড়ি হিসেবে খ্যাত হয়। তবে অন্যদিকে, দারিং কথার হলো অর্থ হলো উপত্যকা এবং বাড়ি কথার অর্থ হলো ঘর। অর্থাৎ দারিংবাড়ি কথার অর্থ হল ‘উপত্যাকার বাড়ি’।
উড়িষ্যার কাশ্মীর অর্থাৎ দারিংবাড়ির সৌন্দর্য রয়েছে চোখে পড়ার মতো। সেখানকার পরিবেশ রয়েছে একদম নিরিবিলি, শান্ত-মনোরম। এই জায়গার পাশেই রয়েছে ডুলুরী নদী। এছাড়াও, এই দারিংবাড়ি থেকে শোনা যায় উড়িষ্যার জনপ্রিয় জলপ্রপাত পুতুদির স্নিগ্ধ ছন্দ। এছাড়াও, শুনতে পাওয়া যায় লুডু, মড়ুবান্দা জলপ্রপাতের আওয়াজ। এছাড়াও, এখানে রয়েছে কফি গার্ডেন এবং ভিউ পার্ক। এর পাশাপাশি এখানে রয়েছে জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা এবং পাশেই রয়েছে ফুলবনী গ্রাম। যেখান থেকে এই দারিংবাড়ির সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
কিভাবে যাবেন? সেই নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। ভুবনেশ্বর পৌঁছে সেখান থেকে বাস ধরে ২৫১ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাবেন দারিংবাড়িতে। এছাড়া, অন্যদিকে বেরহমপুর থেকেও যাওয়া যায় দারিংবাড়ি। তার জন্য বেরহমপুর রেল স্টেশনে নেমে সড়ক পথে ১২০ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাওয়া যায় দারিংবাড়ি। তবে এই জায়গায় গেলে থাকারও কোনো সমস্যা নেই। এখানে রয়েছে থাকার জন্য বহু হোটেল।