নিউজঅর্থনীতি

এতো কোটি কোটি টাকার বাতিল নোট দিয়ে কি করে RBI? জানলে আপনিও অবাক হবেন

সালটা ছিল ২০১৬। যে সালে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ব্যাঙ্কে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে জনসাধারণকে। কিসের জন্য? নোট বাতিলের জন্য। ২০১৬ সালে বাতিল হয়েছিল ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। ২০১৬ সালের পর ২০২৩ সালে আবারো সেই পরিস্থিতির সম্মুখীন জনসাধারণ। চলতি বছরের অক্টোবর মাসের পর থেকে আর কার্যকরী হবে না ২০০০ টাকার নোট। তাই জনসাধারণকে অক্টোবর মাসের মধ্যে সেই টাকা ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা করতে বলা হয়েছে।

তবে বারংবার এই নোট বাতিল হওয়ায় হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণকে। এর পাশাপাশি জনমানসে এই বাতিল হওয়া নোট নিয়ে এক প্রশ্নো উঠেছে। প্রশ্ন হল সরকার বারংবার যে বিপুল পরিমাণ নোট বাতিল করছে এই বাতিল নোট দিয়ে কি করা হয়? আজকের প্রতিবেদন এই বিষয় নিয়েই।

কম-বেশি সকলেই হয়তো জানেন এই বিপুল পরিমাণ বাতিল হওয়া নোট পৌঁছায় রিজাভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অফিসে। দেশের ১৯ টি অফিসে রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ২৭ টি নোট ক্লিপিং মেশিন। যে মেশিন দিয়ে বাতিল হওয়া নোটগুলিকে ছোট ছোট করে টুকরো করা হয়। তারপর কি করা হয়?

নোট ক্লিপিং মেশিনে নোটগুলিকে টুকরো করার পর সেই টুকরোগুলিকে সংকুচিত করে শক্ত কার্ডবোর্ডে পরিণত করা হয়। তারপর এগুলিকে নানান জিনিস তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। কাগজ, ক্যালেন্ডার, পেনের বাক্স, চায়ের কোস্টার সহ আরো অনেক কিছু জিনিস তৈরিতে এই শক্ত কাঠবোর্ড ব্যবহার করা হয়।

এছাড়াও, সিমেন্ট শিল্পে অতিরিক্ত জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় এই শক্ত কার্ডবোর্ড। এর পাশাপাশি শিল্পের চুল্লিগুলিতেও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই শক্ত কার্ডবোর্ড। প্রসঙ্গত, ২০০০-এর দশকের শুরু থেকে ইংল্যান্ড এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছে। তবে শুধু জিনিস তৈরি বা জ্বালানি হিসেবে নয়, সার তৈরিতেও কার্যকরী হয় এই শক্ত কার্ডবোড। আমেরিকায় সিক্রেট সার্ভিস এই নোট নষ্ট করার কাজটি করে থাকে।