অফবিট

Interview Questions : পৃথিবীর কোন দেশের এক ফোঁটা জলও পান করার উপযোগী না?

শিক্ষার পর কম-বেশি বহু ছেলেমেয়েরই চাকরি করার ইচ্ছা থাকে। তার জন্য অনেকে উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতিপর্ব শুরু করে দেয়। তবে যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা একটি বা দুটি পার্টে বিভক্ত থাকে। কোনো কোনো পরীক্ষা লিখিত, ইন্টারভিউ দুটি পার্টে থাকে। আবার কোনো চাকরির পরীক্ষায় সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে প্রার্থী নিয়োগ করা হয়।

চাকরির পরীক্ষার এক অন্যতম পার্ট হলো এই ইন্টারভিউ পার্ট। যেখানে প্রার্থীদের সাধারণ বুদ্ধি বা জ্ঞানের যাচাইকরণ করা হয়। যার জন্য প্রার্থীদের বিভিন্ন সাধারণ প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নগুলির উত্তর খুব একটা কঠিন নয়। কিন্তু সঠিক উত্তর দিতে গেলে প্রার্থীদের একটু বুদ্ধি খরচ করতে হয়।

অনেকেরই প্রশ্ন থাকে ইন্টারভিউয়ে কি ধরনের প্রশ্ন করা হয়। আজকের প্রতিবেদনে সেরকমই বেশ কয়েকটি প্রশ্নসহ উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। তাই চলুন সময় নষ্ট না করে সেই প্রশ্নসহ উত্তরগুলি জেনে নেওয়া যাক।

১) প্রশ্ন – ভারতের সবচেয়ে বড় বনভূমির রাজ্য কোনটি?
উত্তর – মধ্যপ্রদেশ। এই মধ্যপ্রদেশের ৩০ শতাংশ অঞ্চল জুড়ে রয়েছে বনভূমি।
২) প্রশ্ন – ভারতের এলাহাবাদে যখন দুপুর ১২ টা বাজবে তখন লন্ডনের গ্রীনিচের সময় কত হবে?
উত্তর – সকাল ৬ টা ৩০ মিনিট। কারণ লন্ডনের এই সময় (GMT) ভারতীয় সময়ের (IST) থেকে ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট পিছিয়ে রয়েছে।
৩) প্রশ্ন – কোন দুটি দেশের সীমানাকে র‍্যাডক্লিফ লাইন বলা হয়?
উত্তর – ভারত-পাকিস্তান ভাগকারী সীমান্তরেখাকে র‍্যাডক্লিফ লাইন বলা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালের ১৭ই আগস্ট ব্রিটিশ আইনজীবী সিরিল র‍্যাডক্লিফ ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে একটি সীমানা টেনে ভারত-পাকিস্তানকে পৃথক করে দেয়। আর সেই আইনজীবীর নাম অনুসারে এই সীমান্তরেখাকে র‍্যাডক্লিফ লাইন বলা হয়।
৪) প্রশ্ন – পৃথিবীর কোন দেশে এক ফোটাও জল পান করার ব্যবস্থা নেই?
উত্তর – সৌদি আরব। এই সৌদি আরব একমাত্র দেশ যার নদী, পুকুর হ্রদ ও জলপ্রপাত নেই। এই দেশ তেল বিক্রি করে প্রচুর টাকা আয় করে তার অনেকটা অংশ ব্যয় করে সমুদ্রের নোনা জলকে পানযোগ্য করার জন্য। প্রতিদিন ভারতীয় মুদ্রায় ১৭.৮ কোটি টাকা খরচ করে এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় সমুদ্রের জল থেকে লবণকে আলাদা করে সেই জলকে পানযোগ্য করে।
৫) প্রশ্ন – ভারতের সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প প্রবন এলাকা কোনটি?
উত্তর – গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা হল ভারতের সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। মূলত, ব্যাসাল্টিক শিলা থাকার কারণে এই জায়গা বেশি ভূমিকম্প প্রবণ।